নন্দীগ্রামে ৭০ বিঘা সরিষা চাষ করে সাবেক মেয়রের মাথায় হাত

রাজু আহমেদ
  • আপডেট সময় : ১১:১৯:০৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ১৩৮ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাজু আহমেদ নিজস্ব প্রতিনিধি:

শস্যভান্ডার হিসেবে খ্যাত বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলা। এই উপজেলায় ধান, আলু চাষের পাশাপাশি চাষ করা হয় সরিষা। সরিষা অত্যান্ত লাভজনক একটি ফসল, সরিষা চাষে খরচের পরিমানও কম হওয়ায় আগাম জাতের ধান কেটেই এই উপজেলার কৃষকরা মাঠের পর মাঠ সরিষা চাষে ব্যান্ত হয়ে পড়ে।

গত বছর সরিষা’র বাম্পার ফলন হলেও এবছরে সরিষা চাষ করে লোকসান গুনতে হয়েছে এই উপজেলার কৃষকদের। কৃষি অফিসের তথ্যমাত এবছর নন্দীগ্রাম উপজেলায় সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল সাত হাজার দুই শ’ হেক্টর জমিতে। লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ ছাড়িয়ে গেলেও চলতি বছরে দেখা যায়নি সরিষা’র বাম্পার ফলন। সরিষা চাষ করতে প্রতি বিঘায় খরচ হয় ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা। বাম্পার ফলন হলে এক বিঘা জমি থেকে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকার সরিষা বিক্রয় করা যায়। কিন্তু গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে অধিক সরিষা চাষ হলেও সরিষা’র ফলন না হওয়ায় মুখ থুবরে পড়েছে এই উপজেলার চাষিরা। নন্দীগ্রামে সরিষা চাষিদের মধ্য প্রতি বছরেই সবচেয়ে বেশি জমিতে সরিষা চাষ করে থাকেন নন্দীগ্রামের সাবেক মেয়র সুশাধ্য কুমার শান্ত। প্রতি বছরের ন্যায় এবছর ও তিনি ৭০ বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছিলেন, প্রতি বছর সরিষা’র বাম্পার ফলন হলেও এবছর সরিষা’র চাষ করে মাথায় হাত পাড়েছে তার। ৭০ বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করে বাম্পার ফলন না হওয়ায় বড় লোকশানের মুখে পড়েছেন তিনি। সাবেক এই মেয়র সুশান্ত কুমার শান্ত এই প্রতিনিধিকে জানান, প্রতিবছরের মত এবছরেও আমি অনেক টাকা খরচ করে ৭০ বিঘা জমিতে সরিষা’র চাষ করেছিলাম, অনেক আশা ছিলো প্রতিবছরের মত এবছরও সরিষা বিক্রয় করে লাভবান হওয়ার আশা ছিলো কিন্তু কৃষি অফিসারদের গাফিলতির কারণে, তারা আমার সরিষা জমি পরিদর্শন না করায়, আমাকে সরিষা চাষে সঠিক সময়ে সঠিক পরামর্শ প্রদান না করার কারণে এবছর আমি সরিষা চাষ করে লোকসানের মুখে পড়েছি। সরিষা চাষে প্রতি বিঘা জমিতে আমার ৮ হাজার টাকা খরচ হয়েছে, এবং পার বিঘা জমি থেকে দুই মন করে সরিষা পেয়েছি। পার বিঘা জমিতে আমার সাড়ে ৫ হাজার টাকা করে লোকশান গুনতে হয়েছে। এবছর ৭০ বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি। এবিষয়ে নন্দীগ্রাম উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গাজীউল হক বলেন, অভিযোগ পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে উক্ত ব্লকের দায়িত্বে থাকা উপসহকারী কৃষি অফিসারকে পাঠিয়ে সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

নন্দীগ্রামে ৭০ বিঘা সরিষা চাষ করে সাবেক মেয়রের মাথায় হাত

আপডেট সময় : ১১:১৯:০৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

রাজু আহমেদ নিজস্ব প্রতিনিধি:

শস্যভান্ডার হিসেবে খ্যাত বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলা। এই উপজেলায় ধান, আলু চাষের পাশাপাশি চাষ করা হয় সরিষা। সরিষা অত্যান্ত লাভজনক একটি ফসল, সরিষা চাষে খরচের পরিমানও কম হওয়ায় আগাম জাতের ধান কেটেই এই উপজেলার কৃষকরা মাঠের পর মাঠ সরিষা চাষে ব্যান্ত হয়ে পড়ে।

গত বছর সরিষা’র বাম্পার ফলন হলেও এবছরে সরিষা চাষ করে লোকসান গুনতে হয়েছে এই উপজেলার কৃষকদের। কৃষি অফিসের তথ্যমাত এবছর নন্দীগ্রাম উপজেলায় সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল সাত হাজার দুই শ’ হেক্টর জমিতে। লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ ছাড়িয়ে গেলেও চলতি বছরে দেখা যায়নি সরিষা’র বাম্পার ফলন। সরিষা চাষ করতে প্রতি বিঘায় খরচ হয় ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা। বাম্পার ফলন হলে এক বিঘা জমি থেকে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকার সরিষা বিক্রয় করা যায়। কিন্তু গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে অধিক সরিষা চাষ হলেও সরিষা’র ফলন না হওয়ায় মুখ থুবরে পড়েছে এই উপজেলার চাষিরা। নন্দীগ্রামে সরিষা চাষিদের মধ্য প্রতি বছরেই সবচেয়ে বেশি জমিতে সরিষা চাষ করে থাকেন নন্দীগ্রামের সাবেক মেয়র সুশাধ্য কুমার শান্ত। প্রতি বছরের ন্যায় এবছর ও তিনি ৭০ বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছিলেন, প্রতি বছর সরিষা’র বাম্পার ফলন হলেও এবছর সরিষা’র চাষ করে মাথায় হাত পাড়েছে তার। ৭০ বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করে বাম্পার ফলন না হওয়ায় বড় লোকশানের মুখে পড়েছেন তিনি। সাবেক এই মেয়র সুশান্ত কুমার শান্ত এই প্রতিনিধিকে জানান, প্রতিবছরের মত এবছরেও আমি অনেক টাকা খরচ করে ৭০ বিঘা জমিতে সরিষা’র চাষ করেছিলাম, অনেক আশা ছিলো প্রতিবছরের মত এবছরও সরিষা বিক্রয় করে লাভবান হওয়ার আশা ছিলো কিন্তু কৃষি অফিসারদের গাফিলতির কারণে, তারা আমার সরিষা জমি পরিদর্শন না করায়, আমাকে সরিষা চাষে সঠিক সময়ে সঠিক পরামর্শ প্রদান না করার কারণে এবছর আমি সরিষা চাষ করে লোকসানের মুখে পড়েছি। সরিষা চাষে প্রতি বিঘা জমিতে আমার ৮ হাজার টাকা খরচ হয়েছে, এবং পার বিঘা জমি থেকে দুই মন করে সরিষা পেয়েছি। পার বিঘা জমিতে আমার সাড়ে ৫ হাজার টাকা করে লোকশান গুনতে হয়েছে। এবছর ৭০ বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি। এবিষয়ে নন্দীগ্রাম উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গাজীউল হক বলেন, অভিযোগ পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে উক্ত ব্লকের দায়িত্বে থাকা উপসহকারী কৃষি অফিসারকে পাঠিয়ে সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।