সংবাদ শিরোনাম ::
টঙ্গী সরকারি কলেজে শিক্ষক পরিষদের নির্বাচন সম্পন্ন : প্রফেসর ড.আবুল কালাম আজাদ সাধারণ সম্পাদক টঙ্গী সুরতরঙ্গ রোডে বিজয় দিবস উপলক্ষে দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বিজয় অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা কঠিন হাসান উদ্দিন সরকার মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত। মহান বিজয় দিবস ১৬ ডিসেম্বরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন আইউব আলী ফাহিম লেংগা বাজার আইডিয়াল কলেজ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে টঙ্গীতে বিক্ষোভ আ.লীগ ফিরে আসবে’ বলার অভিযোগে ইউএনওকে প্রত্যাহারের নির্দেশ!! টঙ্গীর ঐতিহ্যবাহী নিউ অলিম্পিয়া টেক্সটাইল মিলস্ লি.এর ২৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত নারী নির্যাতন প্রতিরোধপক্ষ ২০২৪ উপলক্ষে গাইবান্ধায় সাইকেল র‍্যালি

ছাগলের ঘর নির্মানে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ হরিনাকুন্ডু উপজেলা প্রাণিসম্প কর্মকর্তার নামে।

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:২৫:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩ ১০৪ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ছাগলের ঘর নির্মানে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ

হরিনাকুন্ডু উপজেলা প্রাণিসম্প কর্মকর্তার নামে।

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি।

ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডু উপজেলার প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে ছাগল পিজি প্রকল্পের

 আওতায় হরিনাকুন্ডু উপজেলায় মোট ৯০ জন ছাগল পালন খামারির ঘর নির্মাণের জন্য ২৫ হাজার ৫০০ টাকা করে বরাদ্দ প্রদান করা হয়। কিন্তু সেই ঘর নির্মানে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।

জানা যায়, কন্যাদহ ছাগল পিজির আওতাধীন ৩০ জন ছাগল খামারি, রামনগর ছাগল পিজির আওতাধীন ৩০ জন ছাগল খামারি ও সিংগা ছাগল পিজির আওতায় ৩০ জন ছাগল খামারি যাদের প্রত্যেকের ছাগল পালনের জন্যে ঘর নির্মানের ২৫৫০০/- টাকা বরাদ্দ আসে, কিন্তু সরেজমিনে কন্যাদহ ছাগল পিজির সভাপতিকে সঙ্গে নিয়ে ভিজিটে যেয়ে বের হয়ে আসে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতির আদ্যোপান্ত।

জানা যায়, খামারিরা নিজে টাকা উঠিয়ে ঘর নির্মাণ করার কথা, কিন্তু উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার খামারিদের দিয়ে টাকা উঠিয়ে নিজের কাছে রেখে দেন  পরে  সেই টাকা থেকে ১৪ হাজার টাকা রেখে মাত্র ১১৫০০ টাকা খামারীকে প্রদান করেছে। ইন্ডাস্ট্রিয়াল টিন দিয়ে ঘর তৈরি করার কথা কিন্তু শুধু ঢেউটিন ব্যবহার করা হয়েছে, দুই ফুট হাইট প্লেন সিট দেওয়ার কথা থাকলেও দেওয়া হয়েছে  ১৮ ইঞ্চি,শক্ত করার জন্য ছয়টি কাঠ ভিতরে লাগানোর কথা ছিল,পিলার লাগানোর কথা ছিল দশটি কিন্তু তা করা হয়নি ঘর গুলো পাতলা নেট দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।

ঘরের মুল ডিজাইনের কিছুই এখানে মানা হয়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সদস্যের স্বামী জানান,আমাদের নামে ২৫৫০০/- টাকা বরাদ্দ আসলেও আমাদের হাতে ২০ হাজার টাকার চেকনপ্রদান করা হয় পরে আমাদেরকে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের অফিসাররা বলেন আমাদের ঠিকাদার ও মিস্ত্রি আছে আপনার তিন হাজার করে টাকা রেখে বাকিটাকা আমাদের দিয়ে দিন আমরা ঘর বানিয়ে দেবো, আমরা তিন হাজার টাকা রেখে বাকি টাকা উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসারকে দিয়ে দিছি তিনারা মালামাল ক্রয় করে মিস্ত্রি দিয়ে ঘর বানিয়ে দিয়েছেন। এছাড়াও কন্যাদহ ছাগল পিজির সভাপতি নিলুফার ইয়াসমিন জানান, আমাদের এখান কার ফিল্ড অফিসার আজাদ ও তৌফিকের হাতে টাকা দিয়েছি তারাই আমাদের ঘর বানিয়ে দিয়েছে। একই কথা জানিয়েছেন বাকি পিজির সদস্যরা।

এ বিষয়ে সরেজমিনে হরিনাকুন্ডু উপজেলা প্রাণিসম্পদ এর অফিসে ডা: উজ্জ্বল কুমার কুন্ডুর সাথে কথা হলে  তিনি সাংবাদিকদের জানান আমি নিয়মিত ভিজিটে গিয়েছি কোনো রকম অনিয়ম দুর্নীতি আমার এখানে হয়নি বা চোখে পড়েনি।এছাড়াও তিনার কাছে ঘরের ডিজাইন চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেছে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করে তথ্য নিন আমি আপনাদের সরাসরি কোনো তথ্য দিতে পারবো না।গোপনীয় নথির কথা উল্লেখ করে ঘরের ডিজাইন ও অন্যান্য তালিকা দিতে অসম্মতি জানান সাংবাদিক’দের। এই বিষয়ে জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ সুব্রত কুমার ব্যার্নাজী বলেন,এই কাজে কোন প্রকার অনিয়ম হয়ে থাকলে বা ধরা পড়লে প্রকল্প বাস্তবায়ন অধিদপ্তর সহ আমি নিজেও যথাযোগ্য ব্যবস্থা নিবো।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

ছাগলের ঘর নির্মানে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ হরিনাকুন্ডু উপজেলা প্রাণিসম্প কর্মকর্তার নামে।

আপডেট সময় : ০৬:২৫:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩

ছাগলের ঘর নির্মানে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ

হরিনাকুন্ডু উপজেলা প্রাণিসম্প কর্মকর্তার নামে।

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি।

ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডু উপজেলার প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে ছাগল পিজি প্রকল্পের

 আওতায় হরিনাকুন্ডু উপজেলায় মোট ৯০ জন ছাগল পালন খামারির ঘর নির্মাণের জন্য ২৫ হাজার ৫০০ টাকা করে বরাদ্দ প্রদান করা হয়। কিন্তু সেই ঘর নির্মানে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।

জানা যায়, কন্যাদহ ছাগল পিজির আওতাধীন ৩০ জন ছাগল খামারি, রামনগর ছাগল পিজির আওতাধীন ৩০ জন ছাগল খামারি ও সিংগা ছাগল পিজির আওতায় ৩০ জন ছাগল খামারি যাদের প্রত্যেকের ছাগল পালনের জন্যে ঘর নির্মানের ২৫৫০০/- টাকা বরাদ্দ আসে, কিন্তু সরেজমিনে কন্যাদহ ছাগল পিজির সভাপতিকে সঙ্গে নিয়ে ভিজিটে যেয়ে বের হয়ে আসে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতির আদ্যোপান্ত।

জানা যায়, খামারিরা নিজে টাকা উঠিয়ে ঘর নির্মাণ করার কথা, কিন্তু উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার খামারিদের দিয়ে টাকা উঠিয়ে নিজের কাছে রেখে দেন  পরে  সেই টাকা থেকে ১৪ হাজার টাকা রেখে মাত্র ১১৫০০ টাকা খামারীকে প্রদান করেছে। ইন্ডাস্ট্রিয়াল টিন দিয়ে ঘর তৈরি করার কথা কিন্তু শুধু ঢেউটিন ব্যবহার করা হয়েছে, দুই ফুট হাইট প্লেন সিট দেওয়ার কথা থাকলেও দেওয়া হয়েছে  ১৮ ইঞ্চি,শক্ত করার জন্য ছয়টি কাঠ ভিতরে লাগানোর কথা ছিল,পিলার লাগানোর কথা ছিল দশটি কিন্তু তা করা হয়নি ঘর গুলো পাতলা নেট দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।

ঘরের মুল ডিজাইনের কিছুই এখানে মানা হয়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সদস্যের স্বামী জানান,আমাদের নামে ২৫৫০০/- টাকা বরাদ্দ আসলেও আমাদের হাতে ২০ হাজার টাকার চেকনপ্রদান করা হয় পরে আমাদেরকে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের অফিসাররা বলেন আমাদের ঠিকাদার ও মিস্ত্রি আছে আপনার তিন হাজার করে টাকা রেখে বাকিটাকা আমাদের দিয়ে দিন আমরা ঘর বানিয়ে দেবো, আমরা তিন হাজার টাকা রেখে বাকি টাকা উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসারকে দিয়ে দিছি তিনারা মালামাল ক্রয় করে মিস্ত্রি দিয়ে ঘর বানিয়ে দিয়েছেন। এছাড়াও কন্যাদহ ছাগল পিজির সভাপতি নিলুফার ইয়াসমিন জানান, আমাদের এখান কার ফিল্ড অফিসার আজাদ ও তৌফিকের হাতে টাকা দিয়েছি তারাই আমাদের ঘর বানিয়ে দিয়েছে। একই কথা জানিয়েছেন বাকি পিজির সদস্যরা।

এ বিষয়ে সরেজমিনে হরিনাকুন্ডু উপজেলা প্রাণিসম্পদ এর অফিসে ডা: উজ্জ্বল কুমার কুন্ডুর সাথে কথা হলে  তিনি সাংবাদিকদের জানান আমি নিয়মিত ভিজিটে গিয়েছি কোনো রকম অনিয়ম দুর্নীতি আমার এখানে হয়নি বা চোখে পড়েনি।এছাড়াও তিনার কাছে ঘরের ডিজাইন চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেছে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করে তথ্য নিন আমি আপনাদের সরাসরি কোনো তথ্য দিতে পারবো না।গোপনীয় নথির কথা উল্লেখ করে ঘরের ডিজাইন ও অন্যান্য তালিকা দিতে অসম্মতি জানান সাংবাদিক’দের। এই বিষয়ে জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ সুব্রত কুমার ব্যার্নাজী বলেন,এই কাজে কোন প্রকার অনিয়ম হয়ে থাকলে বা ধরা পড়লে প্রকল্প বাস্তবায়ন অধিদপ্তর সহ আমি নিজেও যথাযোগ্য ব্যবস্থা নিবো।