নির্বাচন কবে জানালেন ড. ইউনূস
- আপডেট সময় : ০২:১৫:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৫৩ বার পড়া হয়েছে
বিশেষ প্রতিনিধি ঢাকা: – আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কবে হতে পারে এ ব্যাপারে সেনাপ্রধানের বক্তব্যের জেরে আলোচনা যখন তুঙ্গে তখন এ ব্যাপারে ইঙ্গিত দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। জানিয়েছেন, চলমান সংস্কারকাজ শেষে এবং একটি পূর্ণাঙ্গ ভোটার তালিকার কাজ সম্পন্ন হলে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্ক সফররত প্রধান উপদেষ্টা একটি বৈঠকে এই কথা জানান। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ও বাংলাদেশ সময় বুধবার (সকালে) জাতিসংঘ সদর দফতরে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিভার সঙ্গে বৈঠকে এই কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা।
বৈঠকে অধ্যাপক ইউনূস নির্বাচন, বেসামরিক প্রশাসন, পুলিশ, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন ও সংবিধানে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের সুপারিশ করার জন্য তার অন্তর্বর্তী সরকার যে ছয়টি কমিশন গঠন করেছে, সে সম্পর্কে কথা বলেন।
ড. ইউনূস বলেন, কমিশনের সুপারিশ নিয়ে সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে। সংস্কারের বিষয়ে ঐক্যমতে উপনীত এবং ভোটার তালিকা তৈরি হলে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে।
এর আগে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান ১৮ মাসের মধ্যে নির্বাচনের সম্ভাবনার কথা জানান। তিনি জানান, প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন হলে এই সময়ের মধ্যে নির্বাচনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে পূর্ণ সমর্থন দেওয়া হবে।
প্রধান উপদেষ্টা ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভাকে বাংলাদেশের পূর্ববর্তী স্বৈরাশাসন উৎখাত করা ছাত্র নেতৃত্বাধীন গণ-অভ্যুত্থান সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত ব্রিফিং করেন। তখন ক্রিস্টালিনা তাকে বলেন, ‘এটি একটি ভিন্ন দেশ। এটি বাংলাদেশ ২.০’।
আইএমএফের প্রধান নির্বাহী অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্যোগে তার সমর্থন জানিয়ে বলেন, আইএমএফ বাংলাদেশ সরকারের জন্য আর্থিক সহায়তা দ্রুততর করবে। তিনি বলেন, তিনি বাংলাদেশে ‘দ্রুত’ একটি আইএমএফ দল পাঠিয়েছেন এবং এই মুহূর্তে সেটি ঢাকায় অবস্থান করছে। দলটি আগামী মাসে আইএমএফ পরিচালনা পর্ষদের কাছে তাদের প্রতিবেদন দাখিল করবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
জর্জিয়েভা বলেন, আইএমএফ বোর্ড টিমের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন ঋণদান কর্মসূচি শুরু করতে পারে অথবা এটি গত বছরের শুরুর দিকে চালু হওয়া বিদ্যমান সহায়তা কর্মসূচির অধীনে আরও ঋণ দিতে পারে।
জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও পরিবহন উপদেষ্টা ড. ফাওজুল কবির খান এবং বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান আইএমএফ প্রধানকে বলেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার মাত্র এক সপ্তাহ সময়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে অপরাধের ‘দুর্গ’ গুঁড়িয়ে দিয়েছে।
ড. দেবপ্রিয়া দেশের অর্থপ্রদানের ভারসাম্য বাড়াতে আইএমএফের সহায়তার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, বিনিময় হার স্থিতিশীল করতে আইএমএফের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হবে।