সংবাদ শিরোনাম ::
টঙ্গী সরকারি কলেজে শিক্ষক পরিষদের নির্বাচন সম্পন্ন : প্রফেসর ড.আবুল কালাম আজাদ সাধারণ সম্পাদক টঙ্গী সুরতরঙ্গ রোডে বিজয় দিবস উপলক্ষে দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বিজয় অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা কঠিন হাসান উদ্দিন সরকার মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত। মহান বিজয় দিবস ১৬ ডিসেম্বরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন আইউব আলী ফাহিম লেংগা বাজার আইডিয়াল কলেজ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে টঙ্গীতে বিক্ষোভ আ.লীগ ফিরে আসবে’ বলার অভিযোগে ইউএনওকে প্রত্যাহারের নির্দেশ!! টঙ্গীর ঐতিহ্যবাহী নিউ অলিম্পিয়া টেক্সটাইল মিলস্ লি.এর ২৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত নারী নির্যাতন প্রতিরোধপক্ষ ২০২৪ উপলক্ষে গাইবান্ধায় সাইকেল র‍্যালি

কুশাডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধাণ শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ, তদন্ত কমিটি গঠিত।

এম.মাসুম আজাদ,ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৮:১৩:৩৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ ২০২৪ ৩৭ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

এম.মাসুম আজাদ,ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:-ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার কুশাডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: আক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে জেলা প্রথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন স্থানীয়রা। অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, কুশাডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আক্তার হোসেন স্কুলের নানাবিধ অনিয়ম দুর্নীতি করে আসছেন, সম্প্রতি স্কুলের তিনটি ছোট-বড় গাছ কেটে তা বিক্রি করে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন,অভিযোগ রয়েছে স্কুলের পুরাতন দুইটি শৌচাগার ও প্রায় এক শত(১০০) ফুট প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলে সেই ইট বিক্রয় করে অর্থ আত্মসাৎন করেছেন। এছাড়াও সিনিয়র সহকারী শিক্ষিকা রওশন আরা সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, প্রধান শিক্ষক আক্তার হোসেন আমাকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করেন,আমি নিয়মিত ভাবে ক্লাস নিলেও তিনি মানসিক নির্যাতন করেন, আমরা এই প্রধান শিক্ষকের হাত থেকে নিস্তার চাই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষক সাংবাদিকদের জানান, প্রধান শিক্ষক আক্তার হোসেন এখানে যোগদানের পর থেকেই তার নিজের স্বেচ্ছাচারী মনোভাব নিয়ে চলেন, স্কুলের গাছ কেটে বিক্রি, প্রচির ও শৌচাগারের ইট বিক্রি করেও অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।

কুশাডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধাণ শিক্ষক আক্তার হোসেনের সাথে কথা হয় তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগের বিষয়ে, তিনি সাংবাদিকদের জানান, আমার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ বা শিক্ষিকার অভিযোগের কোনো ভিত্তি নাই,আমি এখানে এসেছি বেশিদিন হয়নি আমার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যা ভিত্তিহীন।

এদিকে প্রধান শিক্ষক আক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগের বিষয়ে কথা হয় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আনন্দ কিশোর সাহার সাথে, তিনি সাংবাদিকদের জানান, আমি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি এবং অভিযোগের বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, তদন্তের ভার দেওয়া হয়েছে জেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ফজলুল হক’কে।

তদন্ত সাপেক্ষে প্রমানিত হলে যথাযথ পদক্ষেপ ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

কুশাডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধাণ শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ, তদন্ত কমিটি গঠিত।

আপডেট সময় : ০৮:১৩:৩৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ ২০২৪

এম.মাসুম আজাদ,ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:-ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার কুশাডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: আক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে জেলা প্রথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন স্থানীয়রা। অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, কুশাডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আক্তার হোসেন স্কুলের নানাবিধ অনিয়ম দুর্নীতি করে আসছেন, সম্প্রতি স্কুলের তিনটি ছোট-বড় গাছ কেটে তা বিক্রি করে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন,অভিযোগ রয়েছে স্কুলের পুরাতন দুইটি শৌচাগার ও প্রায় এক শত(১০০) ফুট প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলে সেই ইট বিক্রয় করে অর্থ আত্মসাৎন করেছেন। এছাড়াও সিনিয়র সহকারী শিক্ষিকা রওশন আরা সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, প্রধান শিক্ষক আক্তার হোসেন আমাকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করেন,আমি নিয়মিত ভাবে ক্লাস নিলেও তিনি মানসিক নির্যাতন করেন, আমরা এই প্রধান শিক্ষকের হাত থেকে নিস্তার চাই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষক সাংবাদিকদের জানান, প্রধান শিক্ষক আক্তার হোসেন এখানে যোগদানের পর থেকেই তার নিজের স্বেচ্ছাচারী মনোভাব নিয়ে চলেন, স্কুলের গাছ কেটে বিক্রি, প্রচির ও শৌচাগারের ইট বিক্রি করেও অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।

কুশাডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধাণ শিক্ষক আক্তার হোসেনের সাথে কথা হয় তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগের বিষয়ে, তিনি সাংবাদিকদের জানান, আমার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ বা শিক্ষিকার অভিযোগের কোনো ভিত্তি নাই,আমি এখানে এসেছি বেশিদিন হয়নি আমার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যা ভিত্তিহীন।

এদিকে প্রধান শিক্ষক আক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগের বিষয়ে কথা হয় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আনন্দ কিশোর সাহার সাথে, তিনি সাংবাদিকদের জানান, আমি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি এবং অভিযোগের বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, তদন্তের ভার দেওয়া হয়েছে জেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ফজলুল হক’কে।

তদন্ত সাপেক্ষে প্রমানিত হলে যথাযথ পদক্ষেপ ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।