ছালুয়া ফজলে রাব্বী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নিয়োগ বন্ধ হওয়ার নেপথ্যের কথা
- আপডেট সময় : ০৭:১৬:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪ ৪২ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক:– প্রয়াত ডেপুটি স্পীকার এ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়ার উদ্যোগে গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলার বর্তমান হেডকোয়ার্টারে অবস্থিত ‘ছালুয়া ফজলে রাব্বী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়’ ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। তিনি জীবিত থাকা অবস্থায় অধিকাংশ সময়ে উক্ত বিদ্যালয়ের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তার মৃত্যুর পর, এলাকার বিশিষ্ট জনের অনুরোধে তার কন্যা বর্তমান ফুলছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগ এর সাধারণ সম্পাদক ফারজানা রাব্বী বুবলী বিগত দুই বছর যাবৎ সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তবে তিনি সভাপতি হবার সময় বিদ্যালয়ের উন্নয়ের জন্য বিদ্যালয়টিতে তিনি নিজ খরচে একটি পাঁচতলা বিশিষ্ট ভবন ছাত্রী নিবাস করে দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং সেজন্য কমিটির কাছ থেকে জায়গা কেনার ব্যাপারে সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেন। যাতে দূর-দূরান্ত থেকে ছাত্রীরা এই বিদ্যালয়ে পড়তে আসে এবং গাইবান্ধা জেলার শ্রেষ্ঠ বালিকা বিদ্যালয় হিসেবে স্বীকৃতি পায়। এছাড়াও তিনি বর্তমান শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যোগ্য করে তোলা এবং শুন্যপদে যোগ্য শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া, স্কুল কমিটির মিটিং বাবদ বা অন্য কোন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হলে সেই অনুষ্ঠান বাবদ সমস্ত খরচ সভাপতি বহন করবে মর্মে শর্ত আরোপ করেন।
যাতে বিদ্যালয়ের কোষাগার থেকে কোন টাকা খরচ না হয়। কিন্তু কমিটির এই মেয়াদকালে বিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষকের আগ্রহ থাকলেও, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং কমিটির অভিবাবক প্রতিনিধিরা বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান উন্নয়ন, বিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও পাঁচ তলা ছাত্রী নিবাস নির্মাণ করার ব্যাপারে কোন আগ্রহ প্রকাশ করেন নি। তারা স্কুলের অবকাঠামোগত উন্নয়নের দিকে নজর না দিয়ে শুন্য পদে কর্মচারী নিয়োগ বাণিজ্য করার জন্য তৎপর হয়ে উঠেন।
ফারজানা রাব্বী বুবলী বলেন, ‘নিয়োগ বিষয়ে ম্যানেজিং কমিটির কোনো রেজুলেশন হয়নি। রেজুলেশন ছাড়াই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক।
তিনি আরো বলেন, বিদ্যালয়ে ছাত্রী নিবাস নির্ণমানের জন্য প্রধান শিক্ষক ও অভিভাবক প্রতিনিধিদের জমি ক্রয়ের জন্য সিদ্ধান্ত নিতে বলি এবং জমি ও ভবন নির্মান নিজের টাকায় করে দিব বলে আগ্রহ প্রকাশ করি। তারপর নিয়োগ বিষয়ে সিধান্ত গ্রহন করবো।
কিন্তু প্রধান শিক্ষক ও অভিভাবক প্রতিনিধিগণ এসব শর্তের তোয়াক্কা না করেই তাদের ইচ্ছামত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। এ জন্য বর্তমান সভাপতি ফারজানা রাব্বী বুবলী নিয়োগ বন্ধ করতে নির্দেশ দেন।
এমন পরিস্থিতিতে ফারজানা রাব্বী বুবলী দ্বিতীয় মেয়াদে সভাপতির দায়িত্ব পালন করতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। কিন্তু এলাকার জনসাধারণের দাবী, ফারজানা রাব্বী বুবলী যেন সভাপতি হিসেবে পুনরায় দায়িত্ব পালন করেন। তারা বলছেন, যেহেতু সভাপতির বাবার নামে প্রতিষ্ঠানটি এবং তার গ্রামের বাড়ি গাবগাছী হাউজ কালীরবাজার সংলগ্ন তাই এই বিদ্যালয়ের প্রতি মমত্বাবোধ তার চেয়ে বেশি আর কারো নেই।
এ বিষয়ে সভাপতি বলেন, ইতমধ্যে আমি প্রায় তিন লক্ষ টাকা দিয়ে বিদ্যালয়ের ওয়াশরুমের টাইলস লাগিয়েছি এবং শিক্ষা ভবনটিতে রং লাগিয়েছি। আমি যদি পুনরায় সভাপতির দায়িত্ব পাই তাহলে আমার পরিকল্পনা অনুযায়ী পাঁচ তলা ছাত্রী নিবাস নির্মাণ করবো এতে উপজেলা হেড-কোয়ার্টারের মান উন্নয়ন হবে।
তিনি আরো জানান, শীঘ্রই যেহেতু প্রধান শিক্ষকসহ আরো ৪ জন কর্মচারী নিয়োগ হবে, সেই নিয়োগগুলিতে গুনী এবং যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের নিয়োগ দেওয়া হবে। সেইসাথে তিনি প্রধান শিক্ষকের বাস-ভবন নির্মান করে দিবেন যাতে এই বিদ্যালয়টি ভালো মানের একটি স্মার্ট প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে উঠে।