এস. আলম : লক্ষ প্রাণের স্বপ্ন এবং বাস্তবতা মোহাম্মদ শাহজাহান।
- আপডেট সময় : ০৮:৪১:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৪ ৩৯ বার পড়া হয়েছে
{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":["local"],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{"addons":1,"transform":1},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":true,"containsFTESticker":false}
সেলিম চৌধুরী নিজস্ব সংবাদ দাতা:-আমমরা জানি বাংলাদেশের দারিদ্র্য বিমোচন, বেকারত্ব দূরীকরণসহ কর্মসংস্হান সৃষ্টির মাধ্যমে সমাজ সেবায় ব্যাপক প্রশংসিত, পটিয়ার রত্ন খ্যাত দানবীর বিশিষ্ট শিল্পপতি জনাব সাইফুল আলম মাসুদ (এস. আলম) এখন পটিয়া উপজেলাসহ চট্টগ্রাম বাসীর কাছে অতিপরিচিত মুখ ও ভালবাসার নাম। বর্তমানে এস. আলম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান তিনি। ব্যবসার জগতে এবং কর্মসংস্হান সৃষ্টিতে সফল এক কিংবদন্তি। তিনি চট্টগ্রামের পটিয়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছোট বেলা থেকেই ছিলেন পরোপকারী। পড়ালেখা শেষ করে ব্যবসায়ীর খাতায় নাম লেখান। টিনের এজেন্ট হিসেবে যাত্ৰা শুরু করেন। এরপর পরিবহন ব্যবসায় সফলতার যাত্রা করেন। ব্যবসায়ীক সফলতার বিন্দুকে তিনি সিন্ধুতে পরিনত করেন। ধীরে ধীরে প্রতিষ্ঠা করেন সিমেন্ট, ভেজিটেবল ওয়েল, স্টীল, কুলার রিলিফ, সিয়ার কোয়েল, ব্যাংক, বীমা, চিনি পরিশোধনাগার ইত্যাদি। নিজের মেধা, প্রচেষ্টা ও একাগ্রতার মাধ্যমে যিনি নিজেকে অনন্য উচ্চতায় প্রতিষ্ঠিত করেছেন তিনি জনাব সাইফুল আলম মাসুদ। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে নিবেদিতপ্রাণ যে সব ব্যবসায়ী উদ্যোক্তা নিরলসভাবে পরিশ্রম করে চলেছেন জনাব সাইফুল আলম মাসুদ তাদের অন্যতম। জনাব সাইফুল আলম মাসুদ একজন দুরদর্শী, নিরলস, পরিশ্রমী, দৃঢ়চেতা এবং অধ্যবসায়ী সফল শিল্পোদ্যোক্তার প্রতিকৃতি। যেখানে বাংলাদেশের হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্হান সৃষ্টিসহ দেশের দারিদ্র্য বিমোচনে ব্যাপক অবদান রাখছেন এই এস. আলম পরিবার। তাই তিনি নিজের জন্মস্থানের মানুষের জন্য দানবীর হয়ে চট্টগ্রাম তথা বাংলাদেশের হাজার হাজার মানুষের পাঁশে দাড়িয়েছেন এবং দাড়াচ্ছেন। সম্প্রতি দক্ষিণ চট্টগ্রামে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১৫ হাজার পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন পটিয়ার রত্ন এস. আলম।
শুধু তাই নয় মসজিদ, মাদরাসা, গৃহহীন পরিবারের জন্য গৃহ নির্মাণ, সামর্থ্যহীন ধর্মপ্রাণ মুসলমানদেরকে হজ্জ করানোসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, হাসপাতালের বিভিন্ন উপকরণ কিনে দেয়ার পাশাপাশি করোনা পরবর্তী হাসপাতালে আর্থিক সাহায্য করে যাচ্ছেন এই এস. আলম পরিবার। এভাবে বাংলাদেশের অসহায় মানুষের পাশে থেকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে আজ তিনি পটিয়া তথা চট্টগ্রামের রত্ন হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন। অনেকেই এস. আলমকে বেকারমুক্ত সমাজ এবং দারিদ্র্যমুক্ত পরিবার সৃষ্টির কারণে মানবতার দূত বলেও ডাকেন। সাধারণ মানুষের মাঝে অনেকেই বলেন, চট্টগ্রাম জেলার মধ্যে অর্থবিত্তশালী অনেকেই আছেন কিন্তু জনাব সাইফুল আলম মাসুদ সাহেবের মত এইভাবে অসহায় মানুষের পাশে থেকে সাহায্যের হাত কেউ বাড়ায়নি। কারণ আমরা জানি মানুষের উপকার করার অন্যতম মাধ্যম হলো, কর্মসংস্থান সৃষ্টির চেষ্টা করা। কারো কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার মাধ্যমে শুধু ব্যক্তি বিশেষের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান হয় না; বরং তাদের পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনসহ বহু মানুষের রিজিকের ব্যবস্থা হয়ে যায়।
আমরা দেখেছি বৈশিক মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে কর্মহীন মানুষগুলো যখন কষ্ট পাচ্ছে তখনই মানবতার দূত জনাব সাইফুল আলম মাসুদ তথা এস. আলম পরিবার ছুটে গেলেন অসহায় হতদরিদ্র মানুষের কাছে। তাদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী, হাসপাতালগুলোতে ওষুধ, পিপি ও বস্ত্র বিতরণ করে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। তাছাড়া তখন সরকারীভাবে সারাদেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলে শ্রমজীবী মানুষ, বিশেষ করে নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো যখন লোক লজ্জার ভয়ে কাউকে কিছু বলতে পারছে না। তখনই এস. আলম পরিবার খাদ্য সামগ্রী এবং নগদ অর্থ নিয়ে হাজির হতেন। এ সামগ্রী এবং অর্থ তাদের হাতে দিয়ে বলতেন এটি কোনো ত্রান বা সাহায্য নয়, এস. আলম পরিবারের পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য উপহার মাত্র। তবে কোন কিছু পাওয়ার আশায় নয়, মানব সেবা করাই তার মূল উদ্দেশ্য। এজন্যই এস. আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে জনগণের সামনে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে কিছু লোভী, স্বার্থনেষী মহল এই গ্রুপের ক্ষতি করার চেষ্টা করেছেন।
কিন্তু এসব গুজবে কাঁন না দিয়ে তিনি নীরবে নিভৃতে মানব সেবা করেই চলেছেন, সৃষ্টি করে চলেছেন বিভিন্ন পরিবারের জন্য নতুন নতুন কর্মসংস্হানের। সহানুভূতি এবং ভালবাসাকে বুকে লালন করেই তিনি মানুষের জন্য কর্মসংস্হান সৃষ্টি করে তার এই মানবসেবা প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌছে দেয়ার অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখেছেন। সুতরাং সকল মিথ্যা অপবাদ পেছনে ফেলে এস. আলম পরিবারের নতুন শিল্প উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে আরো নতুন নতুন কর্মসংস্থান তৈরির পাশাপাশি সেবা ও পণ্য উৎপাদন বৃদ্ধিসহ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে টেকসই করার মাধ্যমে প্রকৃত মানব উন্নয়ন নিশ্চিত করবে বলে আশা রাখছি।